WB PRIMARY TET INTERVIEW QUESTIONS ON MIDDAY MEAL //প্রাইমারি ইন্টারভিউ প্রশ্নোত্তর মিড ডে মিল

 WB PRIMARY TET INTERVIEW QUESTIONS ON MIDDAY MEAL //প্রাইমারি  ইন্টারভিউ প্রশ্নোত্তর মিড ডে মিল



পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ বা ভাইভা ( viva and teaching demonstration) গুরত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্টারভিউ তে মোট নম্বর থাকে 10 । যেখানে ভাইভা তে থাকে 5 এবং teaching demonstration এ থাকে 5 । এই 10 নাম্বার মোট একাডেমিক স্কোরে গুরুত্ব পূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই ইন্টারিউয়ের প্রশ্ন ও তার উত্তর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা অবশ্যই প্রয়োজন হবু প্রাথমিক শিক্ষক দের। 

WB PRIMARY TET INTERVIEW QUESTION

এই আর্টিকেলে মিড ডে মিল সম্পর্কিত সব ধরনের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো। মিড ডে মিল সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে - 

• Fact based questions about midday meal 

• situation based questions about midday meal 


মিড ডে মিল সম্পর্কিত FACT BASED প্রশ্ন ও তার উত্তর 


1. MID DAY MEAL কবে থেকে শুরু হয়?


১৯৯৫ সালের ১৫ই আগস্ট প্রথম এই প্রকল্পটি লঞ্চ করা হয় । কিন্তু ২০০১ সাল থেকে এমডিএম প্রকল্পে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা শুরু হয় । এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে ২০০২ সাল থেকে এই প্রকল্পটি বিস্তৃতভাবে সমস্ত সরকারি এবং সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয় গুলিতে শুরু করা হয় । 


2. ভারতের প্রথম রাজ্য কোনটি যেখানে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু হয় ?


 তামিলনাড়ু হয় সেই প্রথম রাজ্য যেখানে মিড ডে মিল প্রকল্প প্রথম চালু হয় । তখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেল কে . কামরাজ। 


3. Mid day meal প্রকল্পের জনক কে ? 


কে কাম রাজ হলেন মিড ডে মিল প্রকল্পের জনক । 


4. মিড ডে মিল প্রকল্পের বর্তমান নাম কি হয়েছে ? 


বর্তমানে মিড ডে মিল প্রকল্পের নাম পরিবর্তিত হয়ে PM POSHAN করা হয়েছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। PM POSHAN এর পুরো নাম প্রধানমন্ত্রী পোষন শক্তি নির্মাণ । 


5. Mid day meal প্রকল্পের CENTRE - STATE শেয়ার কত ?


Midday meal প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের 60% প্রদান করে থাকে কেন্দ্র সরকার ও 40% প্রদান করে থাকে রাজ্য সরকার। 


6. প্রাথমিকে ছাত্র ছাত্রীদের মাথাপিছু বরাদ্দের পরিমাণ কতো?


প্রাথমিক স্তরের প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর জন্য মাথাপিছু আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ 5 টাকা 45 পয়সা। 


7. উচ্চ প্রাথমিকে প্রতি ছাত্রছাত্রী কিছু আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ কত ?


উচ্চ প্রাথমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিল প্রকল্পে মাথাপিছু আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ হলো ৮ টাকা ১৭ পয়সা । 


8. প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের midd day meal এ দৈনিক খাদ্যতালিকা কেমন? 


সোমবার: ভাত + সব্জিডাল + গোটা ডিমসেদ্ধ


মঙ্গলবার: ভাত + মুগ/মুসুর ডাল + আলুভর্তা


বুধবার : ভাত + সোয়াবিনের তরকারি


বৃহস্পতিবার : ভাত + আলুমটর ঘুগনি


শুক্রবার: ভাত + সয়াবিনের তরকারি/ যে কোন সব্জির তরকারি


শনিবার : খিচুড়ি + আলুরদম


9. প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় calorie ও food intake (গ্রহণের) পরিমাণ। 


Calories intake. Primary.   Upper primary

Energy.               450cal.         700cal.

Protein .            12 grams.       20 grams


Food intake.      Primary.      Upper primary

Grain.                 100 g.               150 g.   

Pulses.                20 g.                 30 g.  

Vegetables.        50 g.                  75 g.  

Oil And Fats.     5 g.                    7.5 g.   


 MIDDAY MEAL সম্পর্কিত SITUATION BASED প্রশ্ন ও উত্তর : 


1. MIDDAY meal প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী? 


মিড ডে মিল প্রকল্পটি হল একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প । ভারতের মতো রাষ্ট্রের যেখানে অনেক পরিবারের খাদ্যের সংকট রয়েছে এবং অপুষ্টিতে ভোগে শিশুরা । ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অপুষ্টি দূরীকরণে মিড ডে মিল প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে এই প্রকল্পের আওতায় দুপুরবেলা প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরা ভর পেট খেতে পারে । এই মিড ডে মিল প্রকল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে অপুষ্টি এবং স্কুল ছুটের পরিমাণ কমানো । এছাড়া যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে চায় না অর্থাৎ ছদ্ম ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল মুখী করাও এই প্রকল্পের একটি উদ্দেশ্য । তাই বলা যেতে পারে মিড ডে মিল প্রকল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে অপুষ্টি দূরীকরণ স্কুল ছুটের পরিমাণ কমানো ও ছদ্ম ছাত্রীদের স্কুল মুখী করা মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা। 


2. মিড ডে মিল প্রকল্পের ভালো দিক গুলো কী কী?


মিড ডে মিল প্রকল্প একটি জন কল্যাণকারী প্রকল্প , এ প্রকল্পটির রয়েছে অনেক ভালো দিক । যেমন

• অপুষ্টি দূরীকরণ

•স্কুল ছুটে র পরিমাণ কমানো

• ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি করে বিদ্যালয় মুখি করে তোলে

• দুপুরবেলা সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা পেট পুরে খাবার খেতে পারে । 

• সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণে অনেক বেশি পারদর্শী হয় । মিড ডে মিল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অপুষ্টি দূরীভূত হয় যা ছাত্রছাত্রীদের সুস্বাস্থ্য প্রদান করে । 


3. মিড ডে মিল প্রকল্পের খারাপ দিকগুলো কি কি ?


(এই প্রশ্নটি করা হলে, প্রথমে মিড ডে মিল প্রকল্পের বিশেষ কোনো খারাপ দিক নেই এই বিষয়টি আলোচনা করে নিতে হবে , তারপর মিড ডে মিল প্রকল্পের গুটি কয়েক সীমাবদ্ধতা আলোচনা করতে হবে । কারণ ইন্টারভিউ প্যানেলের সামনে কোন সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে নেগেটিভ বিষয় তুলে ধরা যাবে না । )

উত্তর: স্যার /ম্যাডাম মিড ডে মিল প্রকল্পের মত জনকল্যাণ ও মুখী প্রকল্পের বিশেষ কোনো খারাপ দিক নেই তবে রয়েছে দুই-এক রা সীমাবদ্ধতা ।

 সেগুলি কি আলোচনা করতে পারি ? 

(ইন্টারভিউ প্যানেল অনুমতি প্রদান করলে, সীমাবদ্ধতা গুলি এরূপ আলোচনা করতে হবে । ) 

1. এই প্রকল্পের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে এই প্রকল্পের আর্থিক মাথাপিছু বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সীমিত । প্রাথমিক স্তরে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা উচ্চ প্রাথমিক স্তরে আট টাকা ১৭ পয়সা মাথাপিছু বরাদ্দ যা বর্তমান সময়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম । 


2. শিক্ষা প্রক্রিয়ায় বাধা : এই প্রকল্পটি শিক্ষা প্রক্রিয়ায় সহায়ক হলেও কখনো কখনো এর জন্য শিক্ষা প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। অনেক শিক্ষার্থী শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়ার দিকে খেয়াল করে পড়াশোনার দিকে মন না দিয়ে । 


3. একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি মিড ডে মিল না খেতে চায় তাহলে আপনি শিক্ষক হিসেবে কি করবেন ? 


কোনো স্টুডেন্ট যদি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল না খায় তাহলে সবার প্রথমে আমি একটু খোঁজখবর নেব সে কেন মিড ডে মিল খাচ্ছে না স্কুলে । যদি জানতে পারি তার পরিবার তাকে স্কুলে মিড ডে মিল খেতে বারণ করেছে তাহলে প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের অনুমতি নিয়ে সেই অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলবো । তাকে বোঝাবো স্কুলের মিড ডে মিল পুষ্টি কর খাবারে ভরপুর এবং এই খাবার খেলে তার কোন প্রকার সমস্যা হবে না । আমি আরো জানাবো সমস্ত প্রকারের হাইজিন মেন্টেন করেই আমাদের বিদ্যালয় মিড ডে মিল রান্না করা হয় এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে তা পরিবেশন করা হয়। এই সমস্ত কিছুর পর যদি সেই স্টুডেন্ট বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল না গ্রহণ করে তাহলে প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করব । 


4. বিদ্যালয়ের রাধুনী আসিনি সেই ক্ষেত্রে কি করবেন ?


যদি কোনো কারণে বিদ্যালয় রাধুনী না আসে তাহলে বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা দের সাথে প্রথমে আলোচনা করব সকলে মিলে দুপুরের মিড ডে মিল রন্ধন করা যায় কিনা । যদি সকলে মিলে রাজি হয় তাহলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে থেকে তিনজন রান্নার দায়িত্ব নেব এবং আর বাকি শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলের পড়াশোনার কার্যকলাপ চালিয়ে যাব । এছাড়া যদি রান্নার কাজে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অপটু হয় তাহলে চেষ্টা করব শিক্ষক-শিক্ষিকা রা মিলে তাদের জন্য দোকান থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা । এছাড়া ওই দিনটাকে পড়াশুনো খেলাধুলা এবং পিকনিকের আকারে ছাত্রছাত্রীদের কাছে একটা মজার দিন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করব । 


5. বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবারে অবাঞ্চিত কোন জিনিস পড়লে সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন শিক্ষক হিসেবে? 


যখন ই জানতে পারবো খাবারে কোনো অবাঞ্চিত জিনিস পড়েছে তখনই প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের অনুমতি নিয়ে সেই খাবার ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। ও যদি সময় থাকে তাহলে আবার রান্নার ব্যাবস্থা করবো না হলে বাকি খাবার সবার মধ্যে বিতরণ করবো সাবধানতার সাথে। 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.